LOADING

Type to search

চৌগাছায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা 

চৌগাছা

চৌগাছায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা 

Share

শ্যামল দত্ত (যশোর,) চৌগাছা প্রতিনিধিঃ 

প্রতি বছরের ন্যায় যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এবারো অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় হাজার ভক্তের সমাগমে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই পূজা। বিগত বছরের ন্যায় উপজেলায় এ বছরও সর্বমোট ৪টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা। উপজেলায় পূজা অনুষ্ঠিত মন্দিরগুলো হলো পৌর শহরের কংশারীপুর দাশপাড়া শ্রী শ্রী গোবিন্দ মন্দির, নারায়নপুর ইউনিয়ন এর হাজরাখানা হরিতলা শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির, হাজরাখানা হালদারপাড়া শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও পলুয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দির। শারদীয় দুর্গাপূজা শেষের প্রায় এক মাস পরই শুরু হয় এই মহোৎসব শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজার।
এ পূজাকে কেন্দ্র করে চৌগাছায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি পূজা মন্দিরেই মৃৎশিল্পীরা এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রতিমাগুলো তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করতে। বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন থিমের চিন্তাধারায় এই পূজাকে ঘিরেই পদ্মফুল, পেঁচা, হাতিসহ প্রতি সেটে দুর্গার সঙ্গে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে চৌগাছা পাল সম্প্রদায়ের কারিগরদের।

উপজেলার মন্দির গুলোতে গিয়ে দেখা গেছে তাদের ব্যস্ততা। মাটি দিয়ে যে যার মতো কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগরদের যেন দম ফেলার সময় নেই।

উপজেলার পুড়াপাড়া আদিবাসীপাড়ার মৃৎশিল্পী বিনয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বংশ পরম্পরায় প্রতিমা গড়েন। কাঠ, বাঁশ, খড়, এঁটেল ও বেলেমাটি দিয়ে মূলত প্রতিমা বানানো হয়। একটা পুরো সেট পাঁচ-ছয়জন মিলে বানাতে ১৫-২০ দিনের মতো সময় লাগে। একেকটি প্রতিমা গড়তে সর্বনিম্ন ৩০-৩৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেন তিনি।
প্রতিমা বানানোর অভিজ্ঞতা সম্মন্ধে জানতে চাইলে বিনয় সরকার বলেন, “ভোরবেলা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত  চলে কাজ। মায়ের কাজ করতে ভালোই লাগে। আর এটা গভীর সাধনার কাজ, যা সবাই পারে না। এটাকে সুন্দর করতে হলে মায়ের রূপ অন্তরে নিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হয়। আর এই কাত্যায়নী প্রতিমা তৈরি করতে গেলে তো অনেক চিন্তা ভাবনা নিয়েই তৈরি করতে হয়।”

এদিকে ভিন্ন ভিন্ন রঙের বাহারি সব আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে প্রত্যেকটি পূজা মন্দির, মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা সহ সম্পূর্ণ শহরটি। বিরামহীন কাজে ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। তারা পূজা মন্ডপ সহ বিভিন্ন বড় বড় গেইট প্রস্তুত করেছেন।

৩০ অক্টোবর রবিবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা। ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দশমী বিসর্জনে শেষ হবে এ পূজা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *