LOADING

Type to search

ভবদহে জলসংগ্রামের সেই পাকা ধানে মই

অভয়নগর

ভবদহে জলসংগ্রামের সেই পাকা ধানে মই

Share

স্টাফ রিপোর্টার

ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারনে এ বছর প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভাব হয়নি। ডাঙ্গা এলাকার কিছু বিলে কৃষকেরা নিজেদের চেষ্টায় পাম্প দিয়ে সেচে শুকিয়ে বোরো আবাদ করেছেন। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ওই সব এলাকার কাটা ধান খেতে পানি জমে ধান ভেসে রয়েছে। এতে ওই এলাকার কৃষকের ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা পড়েছে।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোবো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ভবদহ জলাবদ্ধতা এলাকায় কৃষকের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এছাড়া মনিরামপুর,কেশবপুর, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ভবদহ জলাবদ্ধতা এলাকায় আরো কিছু জমিতে কৃষকেরা পাম্প দিয়ে পানি সেচে শুকিয়ে বোরো আবাদ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভবদহ এলাকার ওই সব বিলে বোরো ধানের চাষের জমির পাশে বাঁধ। বাঁধের পাশের জমিকে এখনো বুক সমান পানি। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে ডুবে যাবে পাকা ধান। ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের কারনে কৃষকেরা এমন আশংকা করছেন। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে অনেকের কাটা ধান পানির ওপর ভাসছে। কৃষকেরা ধান নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে ওই ধান ডাঙ্গায় তুলছেন। এতে অনেক ধান ঝরে যাচ্ছে ও ভেজা ধানে গাছ গজিয়ে যাচ্ছে।

সুন্দলী গ্রামের আদিত্য ধর জানান, তার এলাকার একটি বিল এক মাস যাবত পাম্প লাগিয়ে শুকানো হয়েছে। বিল শুকানোর জন্য তাকে দুই বিঘা(৮৪ শতাংশ) জমিতে প্রায় ৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। তাছাড়া অন্যন্য খরচ বাবদ বিঘা প্রতি আরো প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদিত ফসল তিনি সারা বছরের খোরাক হিসাবে ঘরে তুলে রাখবেন। কিন্তু গত সোম ও মঙ্গলবারের ভারি বৃষ্টিতে তার কাটা ধান খেতে পানি জমে গেছে। তিনি ওই ধান অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ করে ডাঙ্গায় তুলে শুকাতে দিয়েছেন। এতে তার অনেক ধান ঝরে গেছে এবং খরচও বেশি হচ্ছে। তার মতো অনেক কৃষক এসব কথা জানান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলেন, ‘আমরা কৃষদের পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তিনি আরো জানান, ভবদহ এলাকার কিছু কাটা ধান খেতে পানি জমে গেছে। এতে তেমন কোন ক্ষতি হবে না।’

 

 

 

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *