আবারও বাড়তে পারে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়
Share
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণে যথাসময়ে পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় অনেকে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছিলেন না। এ বিসিএসের আবেদন ও পরীক্ষার সময় বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে লিখিতভাবে আহ্বান জানানো হয়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় পিছিয়ে দিয়ে আগামী ৬ আগস্ট নেয়ার ঘোষণা দেয় পিএসসি।
এদিকে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। ১৭ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলমান বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের সময় বাড়াতে হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার সময় অনেক আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম গত বছর শেষ হয়েছে। পিএসসির ঘোষণা অনুযায়ী শিগগিরই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।’
তবে চলমান ৪৩তম বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম বাড়ানো যেতে পারে বলে উল্লেখ করে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চাই সকল যোগ্য প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক, সে কারণে দ্বিতীয় দফায় ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো যেতে পারে।’
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে তিন লাখ ২০ হাজারের কিছু বেশি আবেদন পড়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরো কয়েক লাখ আবেদন আসতে পারে। তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হলে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে ৪৩তম বিসিএসের প্রথম ধাপে আবেদনের সময় শেষ হলেও আবেদনকারীর সংখ্যা লাখের উপরে ওঠেনি।
সূত্র, jagonews24.com