LOADING

Type to search

মণিরামপুরে শিক্ষক নিয়োগে ১০ লাখ টাকা বাণিজ্য

যশোর

মণিরামপুরে শিক্ষক নিয়োগে ১০ লাখ টাকা বাণিজ্য

Share

 

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে অগ্রিম টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ৪ চাকরি প্রার্থী। যশোরের মণিরামপুরের মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এলাকার মিজানুর রহমান, বাবুল হোসেন, আব্দুল সামাদ ও পরিতোষ বিশ্বাস নামে ৪ চাকুরি প্রার্থীর কাছ থেকে অগ্রিম উৎকোচ বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হলেও এদের চাকুরি হয়নি। কিন্তু ভূক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরৎ নিয়ে টালবাহানা করছেন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। বার বার ধর্না দিয়েও টাকা ফেরত দিচ্ছেন না সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

জানাযায়, চলতি বছরের ১২ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ বোর্ড হয়। চাকুরির জন্য ১৩ জন আবেদন করলেও ৮ জন নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হন। চলতি বছরের ১২ মার্চ সিরাজুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার পর সহকারি প্রধান শিক্ষক (শূন্য) পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেন। নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মিশনে নামেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভূক্তভোগি ওই চার জনের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ১০ লাখ টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু অগ্রিম টাকা প্রদানকারি চাকুরি প্রত্যাশি ওই ৪ জনের কারো ভাগ্যে জোটেনি চাকুরি নামের সোনার হরিণ। উপরোন্ত দেনদরবার করেও অগ্রিম দেয়া অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না তারা।

প্রার্থী বাবুল হোসেন জানান, চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকার মৌখিক চুক্তির পর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নেন। কিন্তু তাকে চাকুরি দেয়া হয়নি, এমনকি তার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। অপর প্রার্থী মিজানুর রহমান জানান, তাকে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ১ লাখ ও সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ১ লাখ নেন। দেনদরবার করে তিনি ৭০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন।

স্থানীয় মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার ভাগ্নে বাবুল হোসেনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেয়াসহ আরো কয়েকজনের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তা ফেরত দিচ্ছেন না সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি কালিপদ মন্ডল জানান, সভাপতির এমন কর্মকান্ডের বিষয়টি কয়েকজন চাকুরি প্রার্থী তাকে জানিয়েছেন।

সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যিনি প্রথম হয়েছিলেন তার কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ড ও নিয়োগ বোর্ড খরচ বাবদ কিছু টাকা নেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক জানান, নিয়োগ বোর্ড হলে এমন অনেক অভিযোগ শোনা যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *