LOADING

Type to search

বাছিরের জামিন নামঞ্জুর

জাতীয়

বাছিরের জামিন নামঞ্জুর

Share

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স-পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দুদকের পরিচালক  (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এদিকে এ কর্মকর্তা মামলার পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানা ফিল্ল্যা আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে গত ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

বেলা পৌনে ৩টার শুনানি শুরু হয়। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী জামিনের বিরোধীতা করে আসামিকে জেলে পাঠানোর আবেদন করেন।

অন্যদিকে দুদকের সাবেক প্রসিকিউটর মো. কবির হোসাইনসহ প্রমুখ  আসামির জামিন আবেদন করেন। তারা আসামির বিরুদ্ধে থাকা ঘুষ গ্রহণের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং এটি তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। তারা আরও বলেন যে, এনামুল বাছির চাকুরিতে পদন্নতি না পাওয়া সংক্রান্তে হাইকোর্টে একটি রিট করার কারণেই তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ মামলা করা হয়েছে। যদিও দুদকের প্রসিকিউটর এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর আসামির পক্ষের আইনজীবীরা কারাগারে ডিভিশন প্রদানের আবেদন করেন। দুদক প্রসিকিউটর কাজল এ বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী আদেশ হলে তাদের কোন আপত্তি নেই মর্মে জানান। এরপর বিচারক ডিভিশনের বিষয়ে কারবিধি অনুযায়ী আদেশ হবে বলে জানান।

এর আগে কারাগারে থাকা এ মামলার আরেক আসামি জিআইজি মিজানুর রহমানকে (সাময়িক বরখাস্ত) গত ২২ জুলাই শোন অ্যারেষ্ট দেখায় একই আদালত। তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ, আসামি ডিআইজি মিজানের জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান ওই অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আসামি এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। অবৈধ চুক্তি অনুযায়ী মিজান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়ায় ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। যদিও বছির তা অস্বীকার করেন।

পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানা ফিল্ল্যা এ মামলা করেন। দন্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/ ১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(৩)(৩) ধারার মামলাটি করা হয়।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *