চৌগাছায় সড়কে ২ ঘন্টা ধরে ডাকাতি
Share
![](https://arewacloud.com/wp-content/uploads/2020/01/চৌগাছা-ম্যাপ-এর-ছবির-ফলাফল.jpg)
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় সড়কে বিদ্যুতের খুটি ফেলে ২ ঘন্টা ধরে নৈশ কোচসহ বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার ভোররাতে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের জিসিবি আদর্শ কলেজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
গাড়ীর যাত্রী, চালক ও সহকারীরা জানায় রাত ৩ টার দিকে সড়কে বিদ্যুতের খুটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ডাকাতরা প্রথমে চৌগাছা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী জে-লাইনের একটি নৈশ কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১৪০৩), তিনটি ট্রাক, তিনটি আলম সাধু (স্থানীয় যানবাহন) চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
নৈশকোচের যাত্রী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে ১০ হাজার টাকা ছিল। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়।’ তিনি আরো বলেন তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিলেও সেটি পরে ফেরৎ দিয়েছে ডাকাতরা।
নৈশকোচের সুপারভাইজার রনি হোসেন ও চালক বিপ্লব জানান, ‘রাত আনুমানিক ২ টার দিকে আমারা ঘটনাস্থলে পৌছায়। হঠাৎই দেখি সামনে কয়েকটি ট্রাক ও আলম সাধু দাড়িয়ে রয়েছে। গাড়ি দাড়ানোর সাথে সাথে কয়েকজন এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুপারভাইজার রনির কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ওই সময়ে বাসে থাকা ৩ যাত্রীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারা আরো জানান, প্রায় ২ ঘন্টা ধরে গাড়ি দাড় করিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটালেও পুলিশের কোনো টহল দল ঘটনাস্থলে যায়নি। পরে ডাকাতরা চলে যাওযার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আলম সাধু চালক বলেন, আমি প্রায়ই এই সড়কে যাতায়াত করি। এর আগেও আমার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। সেদিনও চৌগাছা থানার এসআই নজরুল স্যার ডিউটি করছিলেন। আজও প্রায় ২ ঘন্টা ধরে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পরে নজরুল স্যার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ঘটনার সময়ে ওই সড়কে টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা চৌগাছা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকজন দুর্বৃত্ত গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। সাক্ষাতে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকজন অল্প বয়সের ছেলে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছি। অপকর্ম করে কেউ রেহাই পাবেনা। দূর্বিত্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত এই সড়কে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোন ভুক্তভোগীরা মামলা না করায় কোন ডাকাত আটকের ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েক বছর আগে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে ২ ডাকাতকে মেরে ফেলার পর সড়কে ডাকাতির ঘটনা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি এই সড়কে ডাকাতির ঘটনা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে।