কেশবপুরে হাড়কাঁপা শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ
Share
![](https://arewacloud.com/wp-content/uploads/2019/12/pickeshabpur-23-12-19.jpg)
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে-
যশোরের কেশবপুরে সহসাই কমছে না শীতের দাপট, হাড় কাঁপুনি শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। মৃদু আবহাওয়া ও শৈত্য প্রবাহের কারনে উপজেলাব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব।
মৃদু আবহাওয়া ও শৈত্য প্রবাহের কারনে সারা দেশের ন্যায় কেশবপুরেও জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারনে এলাকার সাধারন মানুষের কর্মতৎপরতা স্থবির হয়ে পড়েছে। ধমকে গেছে মানুষের অর্থ উপর্জনের পথ। কেশবপুরের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ও মাছ ধরে তাদের সংসার পরিচালনা করে থাকে। শীতের কারনে জেলেরা পানিতে নেমে মাছ ধরতে পারছে না ও কৃষি জমি ঠিকমত আবাদ না হওয়ার কারনে গত কয়েক দিন ধরে কৃষকেরা বড়ীতে বেকার হয়ে বসে আছে। যার ফলে অর্থবভাবে এসব পরিবারের লোকজন চরম দূর্দিনের মধ্যে বসবাস করছে। অনেকে জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুকি নিয়ে তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বাড়ী থেকে বের হচ্ছে। কেশবপুরের অধিকাংশ মানুষ অর্থনৈতিক সংকটের কারনে শীতের গরম পোশাক কিনতে পারছে না। সরকারী ভাবে বস্ত্র বিতরন করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপতুল। তীব্র শীতের কারনে হাট-বাজারে লোকের সমাগম কম ও বেচাকেনা না থাকায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানরাও পড়েছে বেপাকে। বিশেষ করে ধানের বীজতলা তৈরির মৌসুম থাকা সত্বেও সাধারন কৃষকরা ধান নষ্টের ভয়ে বীজ ফেলছে না। অনেক কৃষকরা ধানের বীজতলা তৈরি করে বিপাকে পড়েছে।
এদিকে তীব্র শীতের কারনে কেশবপুর উপজেলাব্যাপী দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতে আক্রান্ত ছর্দি, কাশি রোগীরা স্থানীয় হাসপাতাল ও গ্রাম্য ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, যশোর জেলায় এই মৃদু ধরণের শৈত্য প্রবাহ আরো বেশ কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। ফলে সহসাই কমছে না শীতের এই দাপট। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, রাতের শেষ দিকে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাসের পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামার কারনে গত কয়েক দিন ধরে হিমেল হাওয়ার সাথে তীব্র ঠান্ডা পড়ায় যশোরসহ কেশবপুরে জনজীবনে এক ধরনের ছন্দপতন ঘটেছে। দিনের বেলায় বিশেষ করে খুব সকালের দিকে পথে ঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। সন্ধ্যার সাথে সাথে মানুষজন কাজ সেরে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যাচ্ছে।