কেশবপুরে শ্বশুর বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশেষে মনিরামপুর হাসপাতালে স্থানান্তর
Share
![](https://arewacloud.com/wp-content/uploads/2019/12/kesobp-5dd011e20b9db.jpg)
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে-
যশোরের কেশবপুরে শ্বশুরবাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারী রবিউল ইসলামকে শনিবার মনিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর দিকে মনিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐ স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে করোনা ভারাসে আক্রান্ত শ্যালক সোহাগকে কেশবপুরের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে বাড়িতে রেখে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্য সহকারীর গত ১০ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে কেশবপুর উপজেলার ইমাননগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। ১২ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করেন। এরপর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. দিলীপ রায় ইমাননগর গ্রামে উপস্থিত হয়ে তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী বার বার তাকে ওই গ্রাম থেকে হাসপাতালে নেওয়ার দাবি করলেও সে দাবী মানা হয়নি। এদিকে গত ২২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ওই স্বাস্থ্য সহকারীর নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ির অন্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় দফায়ও ওই স্বাস্থ্য সহকারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তার সংস্পর্শে থাকা তার শ্যালকও করোনায় আক্রান্ত হয় । এদিকে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে নতুন আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর শ্যালকে মনিরামপুর কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হলেও পূর্বের আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারীকে পুনরায় কেশবপুরের শ্বশুর বাড়িতে নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অপরদিকে এ খবর ২৪ এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইনসহ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ফলে শনিবার করোন আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে মনিরামপুর হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই স্বাস্থ্য সহকারীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শ্যালককে কেশবপুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারীর শ্যালককে কেশবপুর উপজেলার ইমাননগর গ্রামের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ##