কেশবপুরে ফসলী জমি রক্ষায় বনানয়ন না করার দাবীতে স্মারক লিপি
Share
![](https://arewacloud.com/wp-content/uploads/2019/08/kashob-bon.jpg)
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে- শোরের কেশবপুর উপজেলায় খননকৃত ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদীর দুই তীরে ফসলী জমিতে সামাজিক বনানয়ন না করার দাবীতে কৃষকরা রবিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
কেশবপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রদানকৃত স্মারকলিপি সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদী খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলার বড়েঙ্গা, আলতাপোল, বসুন্তিয়া, কেদারপুর, মঙ্গলকোট সহ ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদীর দুই তীরের মানুষ তাদের যৎসামান্য জমি ও পতিত জমি ব্যবহার করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করে আসছে। ভূমি জরিপে নদী চিত্র অংকনকে উপেক্ষা করে বহু সংখ্যক মানুষের ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে নদী খনন করে ঐ সকল পরিবারকে সর্বশান্ত করে দেওয়া হয়েছে। ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদীর দুই তীরে যৎসামান্য যে জমি রয়েছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী হতে নেওয়ায় তাদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত পড়েছে। যার ফলে উপজেলার বড়েঙ্গা, আলতাপোল, বসুন্তিয়া, কেদারপুর, মঙ্গলকোট সহ ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদীর দুই তীরের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে ঐ এলাকার শত শত দরিদ্র কৃষক কেশবপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বরাবর সামাজিক বনানয়ন বন্ধ করার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সাথে সাথে তারা ভদ্রা ও বুড়িভদ্র নদীর দুই তীরে নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বজ্রপাত প্রতিরোধে তালের চারা রোপনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি চেয়েছেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে বসুন্তিয়ার আব্দুর রহিম, মঙ্গলকোটের শামসুর রহমান, আলতাপেলের মিহির ঘোষ, কবির হোসেন ও আবু সিদ্দিক-সহ ঐ এলাকার শত শত কৃষক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ জানান, কৃষকদের স্মারকলিপি পেয়েছি যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনিয়ে দেওয়া হবে।