কেশবপুরে কর্মহীন ১৭ হাজার পরিবারের মধ্যে সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদান
Share
![](https://arewacloud.com/wp-content/uploads/2020/05/IMG_20200510_193636_325.jpg)
যশোরের কেশবপুরে করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঘরে থেকে কর্মহীন হয়ে পড়া ১৬হাজার ৯শত পরিবারের মধ্যে সরকারী ভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, প্রতিষ্টান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলায় প্রায় ৬৬ হাজার পরিবার রয়েছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় । এরপর সরকারি নির্দেশ মেনে কেশবপুরের মানুষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘরে থেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন। কর্ম না থাকায় শ্রমজীবি মানুষ পরিবার নিয়ে তারা অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। কর্মহীনদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে ইতিমধ্যে ১৮১ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার ক্রয়ের জন্য ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১১ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে ১৬ হাজার ৯০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, আলু, ছোলা ও চিনিসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।এর পাশাপাশি সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিলেও এখনো অনেক অসহায়, নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার খাদ্য সহায়তা না পেয়ে কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা না দিলে অর্ধাহারে অনাহারে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। অভিযোগ রয়েছে, বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রী একই ব্যক্তি বা পরিবারের সদস্যদেরকে একাধিকবার বিভিন্ন ভাবে প্রদান করা হয়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
জানা গেছে, কেশবপুর এলাকায় প্রায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ঠিকমত নিস্কাশিত না হওয়ায় জলাবদ্ধতা কবলিত হয়ে পড়ে। যার কারণে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষসহ কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেশবপুরের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দুস্থ ও অসহায়। তারা প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে, চায়ের দোকান ও দিন মজুর দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দিন মজুর, শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে ১৬ হাজার ৯০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, করোনার মধ্যে কর্মহীন মানুষদের সরকারী ও বেসরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এখনও যারা খাদ্য সহায়তা পাননি তাদেরকে পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।