LOADING

Type to search

কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী সড়কে ঝড়ে উপড়ে পড়া  গাছ  আত্মসাতের অভিযোগ 

যশোর

কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী সড়কে ঝড়ে উপড়ে পড়া  গাছ  আত্মসাতের অভিযোগ 

Share
জাহিদ আবেদীন বাবু,  কেশবপুর(যশোর) থেকে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি সড়কে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপড়ে পড়া বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকার গাছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র কেটে নিয়ে আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা চুরি যাওয়া কাঠের কিছু অংশ উদ্ধার করলেও চোরচক্রের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর ভায়া সাগরদাঁড়ি সড়কের দু’পাশ দিয়ে ২০ বছর আগে বন বিভাগের উদ্যোগে মেহগনি, বাবলা, রোডরেন্ট্রি, খোইফলসহ বিভিন্ন প্রজাতীর শত শত বনজ বৃক্ষ রোপণ করা হয়। গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ওইসব গাছ লন্ডভন্ড হয়ে রাস্তার ওপর উপড়ে পড়ে। এ সময় সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সুযোগে এলাকার ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র উপড়ে পড়া বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশত গাছ কেটে নিয়ে আত্নসাৎ করেন। এছাড়া ২৭ মে আকস্মিকভাবে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ ঝড়ে গাছ উপড়ে না পড়লেও ওই চক্রটি রাতের আধারে সড়কের বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে ভ্যানযোগে কেশবপুর শহরে বিক্রি করে দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামপুলিশ জানান, ঝড়ের পরের দিন ভোরে আমি মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ খোলার জন্যে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই মজিদপুর গ্রামের রফিক, নাজিম, মোহর, বুলবুল, তরিকুলসহ ১০/১২ জন লোক সড়কের গাছ কেটে নিয়ে হাফিজুরের ভ্যানযোগে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
রফিক জানান, আমরা কোন কাঠের লক নেয়নি। সামান্য কিছু জ্বালানী নিয়েছি।
এ ব্যাপারে বাগদা মজিদপুর বনায়ন সমিতির সভাপতি হাজি জালালউদ্দীন বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করি। এ সময় মজিদপুর গ্রামের রফিক, নাজিম, মহির, মোহর, শহিদুলসহ ১০/১২ জন যুবক তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক গাছের ঘুড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ২৮ মে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০/২৫টি গাছের মুথা কাটা দেখতে পাই। এরমধ্যে কিছু কাঠ উদ্ধার করে আমি মজিদপুর কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রেখে এসেছি। অবশিষ্ট কাটা গাছও ফেরতের তাগিদ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।##

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *