LOADING

Type to search

করোনার কারনে বন্ধ প্রতিষ্ঠান, শরণখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এখন গরুর গোয়াল ঘর

জাতীয়

করোনার কারনে বন্ধ প্রতিষ্ঠান, শরণখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এখন গরুর গোয়াল ঘর

Share

আবু হানিফ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার ব্যাতিক্রম হয়নি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় রায়েন্দা ইউনিয়নের পূর্ব খাদা গ্রামে অবস্থিত শরণখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটিও। সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিও। তবে অভিযোগ রয়েছে এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে বসবাস করছেন তারা। কাঠ, বাশ ও বিভিন্ন মেশিনারী আসবাব পত্র বোঝাই রয়েছে পাঠদানের ক্লাস রুম। আবার কয়েকটি রুমে বাঁধা রয়েছে গবাদিপশু। দূর থেকে দেখলে মনে হয় গরুর গোয়াল ঘর। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীদের একমাত্র প্রত্যাহিক সমাবেশের মাঠ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী। পরিস্থিতি এখন এমন যে, দেখে বোঝার উপায় নেই এটা গরুর গোয়াল ঘর, বালু-খোয়া রাখার গোলা নাকি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দৃশ্যমান এতকিছুর পরও এ চিত্র নজরে নেই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের কারও। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এসকল সামগ্রী রেখে ব্যাবসা-বানিজ্য করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সকল কার্যক্রমের পরিবেশ নাজুক অবস্থায় পরেছে।
স্থানীয় সথে কথা বলেও খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গোলাম মোস্তফা মদু, শরণখোলা সরকারী কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী শিক্ষক, ঠিকাদার ব্যাবসায়ী, আওয়ামী নেতা, ওই প্রতিষ্ঠানেরই সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যার রাহিমা আক্তার হাসির স্বামী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবৈধ দখল করে এসব কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। তার এই কর্মকান্ড দেখে সেখানকার প্রতিবেশীরাও প্রতিষ্ঠান দখল করে পশু পালন শুরু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে বসবাস করা শ্রমিকরা বলেন, “তাদেরকে মদু ছারে এখানে থাকতে দেছে। ৪/৫ দিন হয় এখানে থাকছি। এর আগেও মাস ব্যাপী এখানে ছিলাম। আর আমরা সবাই ছারের কাজ করি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মৃধা ও আব্দুল হামিদ মৃধা বলেন, “জোর জার মুল্লুক তার। বছরের পর বছর মদু ছারে ঠিকাদারি কাজের বিভিন্ন মালামাল রেখে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট করছে”।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পুরো মাঠ জুড়ে নির্মান সামগ্রী রাখায় মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সভাপতি যদি এসব কাজ করে তবে তাকে কে ঠেকাবে ?।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গোলাম মোস্তফা মদুর মুঠো ফোনের ০১৭১৬৯৩৭৩৩৫ এই নাম্বারে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাকাওয়াত হোসেন জানান, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় ওই মালামাল গুলো রাখা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tags:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *