LOADING

Type to search

নূপুর শর্মাকে সমার্থন করে কলেজ ছাত্রের ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ায় পুলিশ জনতার দাঙ্গা

নড়াইল

নূপুর শর্মাকে সমার্থন করে কলেজ ছাত্রের ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ায় পুলিশ জনতার দাঙ্গা

Share

বিক্ষুবদ্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিআর সেল নিক্ষেপ
গণ দাবির প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষসহ ছাত্রকে জুতার মালা গলায় পরিয়ে গ্রেফতার

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ড্রিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহুল দেব তার ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্ম াকে সমার্থন করে একটি স্টাটাস দেয়। এই ঘটনার পর শনিবার ওই ছাত্র কলেজে গেলে সে ছাত্রছাত্যীদের রোসানলে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে কলেজের অক্ষক স্বপন কুমার তাকে নিরাপদ হেফাজতে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনা শুনে স্থানীয় মির্জাপুর ক্যাম্প ও থানা পুলিশ ঘটনা  ছুটে আসে। ক্যাম্পর পুলিশ ব্যর্থ হলে নড়ােইলের এডিশনাল এসপি রিয়াজুল ইসলাম, থানার ওসি শওকত কবির, ডিপি পুলিশ সহ প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়ে কলেজে ছুটে আসেন।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এসময় বিক্ষোভ প্রদর্শ করে নানা শ্লোগানে মিছিল দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা চড়া্ও হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও কলেজের শিক্ষকদের তিনটি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ ৬ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। পরে গণদাবির প্রেত্ক্ষিতে ওই ছাত্র ও কলেজেরঅিধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে জিুতার মালা পরিয়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসে। এতে জনগন শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

অন্য একটি সূত্র থেতে জানা যায়,, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তিকারী নুপুর শর্মার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ায় নড়াইলে মীর্জাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও শিক্ষার্থী রাহুলকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, নড়াইলে মীর্জাপুর ডিগ্রী কলেজের কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল মাহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তিকারী নুপুর শর্মার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেন। কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন। কথা না শোনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কাছে জানালে তিনিও রাহুলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দেন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে কলেজ ক্যাাম্পাসে আসে পাশের লোকজন এসে কলেজ ঘিরে রাখে। উত্তেজিত জনতা এসময় ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে।
সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও অভিযুক্ত রাহুলকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
অভিযুক্ত রাহুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি বলেন, উত্তেজিত জনতা পুশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও তিনটি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ সময় িচার জন পুলিশ আহত হয়। পরে জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করতে ৬ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অধ্যক্ষসহ অভিযুক্তকে নিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড গ্যাস ছোড়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *