ফিরাত নিউজ

ভবদহের আমডাঙ্গা খাল বাস্তবায়নের পথে

স্টাফ রিপোর্ট

বিশ্ব ব্যাংকের বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় করনের সমীক্ষা যাচাই করতে আমডাঙ্গা খাল পরিদর্শণ করলেন বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি দল। সোবমার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলকে খালের প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা সরজমিনে অবহিত করান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ^ ব্যাংকের প্রকল্প ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ম্যাজেমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় ‘ভৈরব আফরা নিষ্কাশন উপপ্রকল্প’ নামে আমডাঙ্গা খাল প্রশস্তকরণ করে খনন ও জমি অধিগ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে খালের উভয় তীরে ১’৬০ হেক্টর ও বাঁধ নির্মাণের জন্য ৭.১৫ হেক্টর মোট ৭.১৫ হেক্টর জমি অধিগ্রণ বাবদ ১০ কোটি টাকা, ফ্লাট ওয়াল নির্মাণ বাবদ ৫০ লাখ, একটি ট্রেনিং সেন্টার বাবদ ৪০ লাখ ও ভৈবর নদ থেকে রাজাপুর ব্রীজ পর্যন্ত ২.৪৫ কি.মি খননের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ।
ওই প্রস্তাবনার সমীক্ষা যাচাই করতে বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি দল গতকাল খাল পরিদর্শণ করেন। বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধিদল তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্প দেখে অর্থ ছাড় করনের আশ^াস্ত করেন। আশা করা যায় দ্রæত প্রকল্পের কাজ শারু হবে।
পরিদর্শণ কালে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সংশ্লিষ্ট ১০ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রউফ মোল্যা । তিনি জানান, ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধা নিরসনের জন্য তার নির্বাচনী ওয়াদা মোতাবেক দ্রæত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিনি পনি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তাগিদ করেন। সেই তাগিদা মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিশ^ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলকে দিয়ে পরিদর্শণ করেছেন। খাল পরিদর্শণ কালে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী পিযুষ কুন্ড, যশোর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম, ভবদহ পনি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, মুক্তিযোদ্ধা অধীর পাড়ে সহ ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নের্তৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ভবদহ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে ভূক্তভোগীরা স্বেচ্ছাশ্রমে আমডাঙ্গা খাল খনন করে। খাল খননের পর রেল পথ ও যশোর খুলনা মহাসড়কের নীচে দিয়ে ছোট দুটি কালভাট থাকায় তা দিয়ে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা পায়। পরের বছর ২০০৬ সালে এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতের দরুণ ভবদহ এলাকার বড়ি ঘর ডুবে যায়। সে বছর রেল ও মহাসকড়ে ব্রিজ করার জন্য ব্যপক আন্দোলন সৃষ্টি হয়। আন্দোলনের মুখে সরকার দ্রæত মহাসড়ক ও রেল পথের ওই দুইটি স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করে। কিন্তু প্রয়োজনীয় গভীর করে খাল খনন না করে খাল পাড়ের বাড়ি ঘর রক্ষার জন্য কংক্রিটের বøক বসানো হয়। এতে পানি প্রবাহে বাঁধা পায়। ২০১৯ সালে এলাকায় আবারো জলাবদ্ধতা দেখা দিলে ভুক্তভোগিরা খালের তলা থেকে ওই সব বøক অপসরণ করে।। পরে পানির তোড়ে খাল পাড়ের ৬টি বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ে পানি প্রবাহে ব্যাপক বাঁধাগ্রস্ত হয়। ভাবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ও আমডাঙ্গা খাল বাস্তবায়ন কমিটির আন্দোলনে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত প্রকল্প গ্রহণ করে।